মুর্শিদাবাদে আসিয়া দাঁড়ানু, সিরাজ সমাধি পাশে
সমাধি তাহার ঢাকা পড়িয়াছে, ছোট ছোট কচি ঘাসে।
বর্ষার জলে কচি তৃণগুলী, পেয়েছে নধররূপ
নাইতো সেথায় একটা গোলাপ, কিম্বা একটা ধুপ।
কত শত জন দাঁড়ায়ে হেথায়, করে শুধু হাহাকার
আঁখি জল ফেলি, কেহ কেহ তারে, জানায় শ্রদ্ধা তার।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব, রয়েছে শায়িত হেথা
বাংলা রক্ষা করিতে প্রয়াস হয়েছিল তার বৃথা।
বিশ্বাসঘাতী মীরজাফরই হেসেছিল শেষ হাসি
প্রবাদ খাতায় আজও সে সতেজ, হবে নাকো কভু বাসি ।
স্বাধীনতা রবি ডুবে গেল হায় পলাশের প্রান্তরে
মোহনলালের সব বীরত্ব, আঁধারে গুমরি মরে ।
রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, ক্লাইভে মিতালী করি
কোরবানি দিল স্বাধীনতাটাকে কিছু না বিচার করি ।
ঘষেটি বেগম দিল যে উগারি, ছিল যত হলাহল
ভাগীরথী তীরে স্বাধীনতা রবি ডুবিলো কোন অতল ।
পলাশীর মাটি হল রক্তিম, নবাবি সেনার খুনে
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব আজও অচেতন ঘুমে।
সিরাজের পাশে শ্রেয়শী সুৎফা, সেবিতেছে নিশিদিন
আজও যদি আসি কান পাত কভু, শুনিবে কান্না ক্ষীণ ।
পারে নি সিরাজ করিতে রক্ষা, সাধের বাংলা মা কে
বিশ্বাসঘাতী খরসান হায় ঁবিধিল তাহার বুকে।
এল কাল রাহু, আঁধার ঘনাল বাংলা ভাগ্যাকাশে
কুর্নিশ করি তরুণ নবাব, আজও আছে তব পাশে।
শ্যামলিমা মাঝে তুমি যে শ্যামল উজ্জ্বল চিরকাল
আলিবর্দীর আদরের ধন, বেঁচে থাক চিরকাল ।
কত যুগ পরে তোমার বাংলা, হয়েছে আজকে স্বাধীন
তরুণ নবাব ! শোধ করিয়াছে বাংলা তোমার ঋণ ।
কত শহীদের রক্তের দামে, আজকের স্বাধীনতা
কবরে থাকিয়া দেখহে জাফর বিশ্বাসঘাতকতা ।
ফেলছে সবাই ঘৃণা থুৎকার তোমার নামের পরে
আজ ও সিরাজ চির উজ্জ্বল সব হৃদিকন্দরে ।।
Comments & Reviews (0)
No comments yet :(