Poem

আনন্দ

3 years ago

0

মহুয়া বনে , পাহাড়ি নদীর ধারে ,

বসেছে আনন্দ মেলা যেন থরে থরে ।

বাজিছে মাদল আর কড়ানাকাড়া যে ,

মহুয়ার গন্ধে মাতাল সান্তাল কন্যা সাজে ।

হলুদ শাড়িটি পরে সাঁওতালি ঘাটে ,

নির্জন পল্লী যে কেহ নেই বাটে ।

পাহাড়ি ঝরনা যেন বহে ঝর ঝর

বিরাম নাহিকো তার আকুল পাথার।

কেহ মাজে হাঁড়িকুড়ি কেহ আনে জল -

কেহ বা মহুয়া খেয়ে চলে শুধু টলমল ।


সাঁওতাল পল্লীতে উৎসব হবে -

আমডালা বাঁধি সবে নাচিবে উৎসবে ।

পলাশ , সিরীষ আর মহুয়ার গন্ধে -

জিম হয়ে থাকে সবে নেশার আনন্দে ।

সবুজ অবুঝ ভারা ভাষা নাই মুখে -

নাচিছে খেলিছে আহা কত মন সুখে ।

কুমুদ ফুটেছে কত পুকুরের মাঝে -

তারে তো দেখে না কেহ মাতাল সমাজে।

রূপ - রস - গন্ধ - বােধ তাদের তাে নাই ,

ধি তাং,ধি তাং তালে শুধুই বিভাের সবাই ।


লেখনি রয়েছে সাক্ষী বিনিদ্র রজনী ,

সৃষ্টির আনন্দে জাগে লেখক আপনি ।

চোখে কালি কুঞ্চিত করিয়া বেশ থাকে অবিরত ,

তদ্রাহীন রজনী যে ঢেউ আনে মনে , তবু হয়না বিরত।

আনন্দে মত্ততা জাগে শুধু কবি মনে ,

জানে না সৃষ্টির ফল বুঝিবে কেমনে ।

আপন সৃষ্টির সুখে কাটে যে জীবন ,

তবু থাকে মহাসুখে সৃষ্টি বিমুখ না হয় যেন ।

মধুলােভী মধুলােভে আনন্দে বিভােল ,

তিল তিল মধু সঞ্চি হয়েছে পাগল ।

শীতের সঞ্চয় তরে মধুচক্র রচে ,

মনুষ্য নিষ্ঠুর অতি,সঞ্জয় হয় যে মিছে।


আনন্দে স্হাপন করে অজন্তার মূর্তি ,

কঠোর শ্রম স্থপতির থাকে শুধু কীর্তি ।

সৃষ্টির আনন্দ বুঝে, স্রষ্টা যে কেবল ,

দরাদরি করি মূল্য তার পায়না সুফল ।

পাণ্ডুলিপি লয়ে কাড়াকাড়ি , করে প্রকাশকগণ ,

চাঁদির চশমা চোথে দর কষাকষি করে অনুক্ষন ।

আনন্দ জোয়ারে মাতি থাকে না হিসেব ,

পাঠকেরা আনন্দেতে স্রষ্টা পাই সব ।

সৃষ্টির আনন্দেতে স্রষ্টা পায় পুরস্কার ,

লেখক আনন্দ পায় , না পেলে ধিক্কার ।

পুষ্প ফোটে বনে বনে , বিলায় সুগন্ধ ,

নদী বহে কুলুকুলু , প্রবাহে আনন্দ।

Comments

To comment on content, please Login!

Comments & Reviews (0)

No comments yet :(