মহুয়া বনে , পাহাড়ি নদীর ধারে ,
বসেছে আনন্দ মেলা যেন থরে থরে ।
বাজিছে মাদল আর কড়ানাকাড়া যে ,
মহুয়ার গন্ধে মাতাল সান্তাল কন্যা সাজে ।
হলুদ শাড়িটি পরে সাঁওতালি ঘাটে ,
নির্জন পল্লী যে কেহ নেই বাটে ।
পাহাড়ি ঝরনা যেন বহে ঝর ঝর
বিরাম নাহিকো তার আকুল পাথার।
কেহ মাজে হাঁড়িকুড়ি কেহ আনে জল -
কেহ বা মহুয়া খেয়ে চলে শুধু টলমল ।
সাঁওতাল পল্লীতে উৎসব হবে -
আমডালা বাঁধি সবে নাচিবে উৎসবে ।
পলাশ , সিরীষ আর মহুয়ার গন্ধে -
জিম হয়ে থাকে সবে নেশার আনন্দে ।
সবুজ অবুঝ ভারা ভাষা নাই মুখে -
নাচিছে খেলিছে আহা কত মন সুখে ।
কুমুদ ফুটেছে কত পুকুরের মাঝে -
তারে তো দেখে না কেহ মাতাল সমাজে।
রূপ - রস - গন্ধ - বােধ তাদের তাে নাই ,
ধি তাং,ধি তাং তালে শুধুই বিভাের সবাই ।
লেখনি রয়েছে সাক্ষী বিনিদ্র রজনী ,
সৃষ্টির আনন্দে জাগে লেখক আপনি ।
চোখে কালি কুঞ্চিত করিয়া বেশ থাকে অবিরত ,
তদ্রাহীন রজনী যে ঢেউ আনে মনে , তবু হয়না বিরত।
আনন্দে মত্ততা জাগে শুধু কবি মনে ,
জানে না সৃষ্টির ফল বুঝিবে কেমনে ।
আপন সৃষ্টির সুখে কাটে যে জীবন ,
তবু থাকে মহাসুখে সৃষ্টি বিমুখ না হয় যেন ।
মধুলােভী মধুলােভে আনন্দে বিভােল ,
তিল তিল মধু সঞ্চি হয়েছে পাগল ।
শীতের সঞ্চয় তরে মধুচক্র রচে ,
মনুষ্য নিষ্ঠুর অতি,সঞ্জয় হয় যে মিছে।
আনন্দে স্হাপন করে অজন্তার মূর্তি ,
কঠোর শ্রম স্থপতির থাকে শুধু কীর্তি ।
সৃষ্টির আনন্দ বুঝে, স্রষ্টা যে কেবল ,
দরাদরি করি মূল্য তার পায়না সুফল ।
পাণ্ডুলিপি লয়ে কাড়াকাড়ি , করে প্রকাশকগণ ,
চাঁদির চশমা চোথে দর কষাকষি করে অনুক্ষন ।
আনন্দ জোয়ারে মাতি থাকে না হিসেব ,
পাঠকেরা আনন্দেতে স্রষ্টা পাই সব ।
সৃষ্টির আনন্দেতে স্রষ্টা পায় পুরস্কার ,
লেখক আনন্দ পায় , না পেলে ধিক্কার ।
পুষ্প ফোটে বনে বনে , বিলায় সুগন্ধ ,
নদী বহে কুলুকুলু , প্রবাহে আনন্দ।
Comments & Reviews (0)
No comments yet :(