হে রুদ্র ভৈরব -
তব প্রখর দহন দানে
ক্লান্ত ধরিত্রী কোণে ,
একা বসি বাতায়নে ,
করিতেছি স্মৃতি রােমন্থন ,
একান্তে হৃদয় পীড়া
করিছে দহন দেহ- মন
হৃদয়ের বাসনা-কামনা যত
করে আলােড়ন ----
নাই বন্ধু , নাই সখা আজ
অবসর জীবনে আসি ,
শুধু অশ্রুজলে ভাসি,
বিরাম বিহীন তৃষা
পুরায় সে আশা---
একাকীত্ব গ্রাস করে
নীরব মধ্যাহ্নের মর্ম বেদনা ।
শীর্ণ - জীর্ণ দেহে বসি
অলস মধ্যাহ্নে করেছি যাপন ,
অদূরে শীর্ণকায় গাে-বৎস এক
চরিছে আপন মনে ---
পুচ্ছ দুলাইয়া , মাতৃক্রোড় ছাড়ি ,
খর তাপ তুচ্ছ করি ,
একান্তে বিচরিছে অতি সংগােপনে ।
টলিতে টলিতে চলে ---
শ্রমিকের দল নব নির্মিত
রাজপথ পরে ----
কর্মশেষে খাদ্যাহাষণে -
অদূরে ঝুপড়ির পানে ,
অন্ন - জল ভিন্ন প্রাণ
বাঁচে নাকো এইক্ষণে ।
পুন্যার্থী আসিছে কত ,
ধর্মান্ধের জালে বিদ্ধ
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফরীর মত ,
যন্ত্র দানবের জালা---
করিছে দংশন মুহুর্মুহু
বিকট গর্জন তার -
নভস্থল বিদারিয়া করিছে
দহন প্রখর মধ্যাহ্নে।
জটাজাল বিস্তারিয়া
হে রুদ্র ভৈরব –
ধংস কর । মুক্ত কর --
এ ক্ষদ্র মানব সন্তানে
স্বার্থান্ধের নাগপাশ হতে
এ খর তাপে , বৈশাখের
তপ্ত দ্বি - প্রহরে ।
নাহি ক্লান্তি , নাহি মুক্তি
নাহি কোন প্রতিবাদ---
যেন পারাবার ।
তীর্থ যাত্রী দল---পড়িছে আছড়ি
সময়ের স্রোতে - কালের
করাল গ্রাসে - রুদ্ধ নিঃশ্বাসে
প্রলয়ের অভিঘাতে - ক্ষণিকের তরে ।
জীবন আসিল শেষে,
বিকৃত মস্তিষ্ক এক, তীব্র করাঘাতে
ভাঙিল মনের ভুল,
বিকট গর্জনে, টুটিল মনের সাধ,
ক্ষণিকের তরে -----
এ খরতাপক্লিষ্ট দ্বি-প্রহরে ।
এ দিন চলিয়া যাবে
ক্ষণ কাল পরে,
ঢলিবে মধ্যাহ্ণ সূর্য
পশ্চিমের অস্তচলে ---
আবার উদিবে রবি উদয় অচলে ---
স্মৃতি চিহ্ণ রবে যেন
চিরকাল তরে ---
অক্ষয় -অব্যয় - অমর স্মৃতি
রবে জয়ী চিরকাল জীবন সাগরে।
Comments & Reviews (0)
No comments yet :(