রিমঝিম..বৃষ্টির ফোটা.বৃষ্টির ফোটার মতোই স্বচ্ছ আর নির্মল সে.রিমঝিম ক্লাস নাইন এ পড়ে.রিমঝিম খুবই সাধারণ একটি মেয়ে ছিল.সব মেয়েরা যখন মেকআপ আর বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত তখন রিমঝিম স্কুল থেকে বাসা,বাসা থেকে স্কুল এসব নিয়ে থাকতো.তার গন্ডি এতটুকু ছিল.তার ভাবনা ছিল,জীবনে একজনকেই ভালোবাসবো যাকে আমি বিয়ে করবো.তারজন্য অপেক্ষা করে থাকবো.আমার সব ভালোবাসা তার জন্য জমা রাখবো. ভ্যালেনটাইন ডে আসলে রিমঝিম জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বলতো হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে. সে জানে এই শুভেচ্ছাটুকু তার হবু বরের কাছে পোঁছবে না কিন্তু সেই ভাবতো বাতাস তো মুক্ত সব জায়গাতে যায় যদি বাতাসের মাধ্যমে তার অনভুতিটা তাকে স্পর্শ করে এটাতেই সে সুখ খুঁজে পেতো.এখন সে স্নাতক পরীক্ষা শেষ করেছে.ছুটি চলছে সময় অনেক তাই সময় পার করার জন্য ফেইসবুক আইডি খুললো.ফেইসবুক এ একদিন একটা রিকোয়েস্ট আসলো.সেটা ছিল একজন প্রবাসী বাঙালি ছেলের.নাম ছিল অনিক.রিমঝিম অনিকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলো.তারপর চ্যাটিং হতো অনিকের সাথে.রিমঝিম কখনো নিজের ছবি কারো সাথে শেয়ার করতনা.একদিন অনিক রিমঝিমকে একটা ব্লুর করা ছবি পাঠালো বললো দেখেন চিনেন কিনা.রিমঝিম ওইদিন নিজের ছবি নিজেই চিনতে পারলোনা কারণ সে জানতো ওতো ছবি শেয়ার করেন ওর ছবি কেউ পাবে কিভাবে আর ছবিটা ব্লুর করেছিল বলে আরো চিনেনি.যখন ছবিটা ক্লিয়ার করে পাঠালো তখন রিমঝিম তো আকাশ থেকে পড়লো.সে বুঝতেই পারছিলো ছবি কিভাবে পেলো উনি. অনেক জিজ্ঞেস করার পরও অনিক বল্লোনা.রিমঝিম অনিককে fb থেকে ডিলেট করে দিলো কিন্তু ইয়াহু থেকে রিমুভ করতে ভুলে গিয়েছিলো.একদিন অনিক রিমঝিমকে বললো সব ঘটনা,যে সে মেয়ের আইডি খুলে মেয়ে হয়ে রিমঝিমের খালাতো ভাইয়ার সাথে চ্যাট করে ওর ছবি নিয়েছে ওর ব্যাপারে সব জেনেছে.রিমঝিম আবারো খুবই অবাক হলো.তারপর অনিক দেশে আসলো আর একবারে নিজের মা ভাই ভাবীকে নিয়ে রিমঝিমের বাসায় বিয়ার প্রস্তাব নিয়ে আসলো.তারপর বিয়া সম্পন্ন হলো.বাসর রাতে অনিক ওকে বললো তুমি আমার আবিষ্কার..
Comments & Reviews (0)
No comments yet :(